আসল সোনা হয় মূলত ২৪ ক্যারেটের। তবে ২৪ ক্যারেটের সোনা দিয়ে গয়না তৈরি হয় না। কারণ সেটা এত নরম হয় যে, গয়না তৈরি করা সম্ভব হয় না। গয়না তৈরির জন্য মূলত ২২ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে ৯১.৬৬ শতাংশ সোনা থাকে। এবং অন্যান থাকে টামা বা ভিন্ন ধাতু।
সোনায় লোহা মেশানোঃ
সোনার সাথে লোহা কথাটা শুনলেই কেমন যেন অস্বাভাবিক মনে হয়। আর এই অস্বাভাবিক কাজই সোনার ব্যবসায়ী করে থাকে। সোনায় যদি লোহা মেশানো থাকে, তা হলে চুম্বক ধরলেই সেটা টেনে নেবে। সোনায় লোহা মোশানো আছে কি না, তা চুম্বক ব্যবহার করে অবশ্যই পরখ করে নিন।
রাসায়নিক ও এসিড দ্বারা খাঁটি সোনা কিভাবে চিনবেনঃ
সোনা পরীক্ষা করার জন্য বাজারে কিছু রাসায়নিক এবং এসিড আছে যেগুলো ব্যবহার করে সোনার গুণগত মান যাচাই করা সম্ভব। ওই রাসায়নিক বা এসিড খাঁটি সোনার সংস্পর্শে এলে কোনো রকম বিক্রিয়া হয় না।
সাদা চিনেমাটির প্লেট খাঁটি সোনা কিভাবে চিনবেনঃ
সোনা যাচাইয়ের জন্য এটি একটি ভিন্ন টেকনিক। সাদা চিনেমাটির একটা প্লেটের সাহায্যে আপনি সোনা যাচাই করতে পারেন। সোনার গয়না চিনেমাটির প্লেটে ঘষে দেখুন। যদি থালার ওপর কালো দাগ পড়ে তা হলে বুঝতে হবে সোনা নকল। আর যদি হালকা সোনালি রং পড়ে তা হলে বুঝতে হবে সেটা আসল।
দুই গ্লাস পানিঃ
সোনার দোকানে আপনি তো চিনামাটির প্লেট বা রাসায়নিক এসিড নিয়ে যাবেন না তাহলে কি করবেন। দোকানে ঢুকে দোকানদারকে পানি খাওয়াতে বলুন। তবে এক গ্লাস নয় সাথের বান্ধবী বা স্ত্রীর জন্যও এক গ্লাস দিতে বলুন। আর যদি কাউকে অন্ধকারে উপহার দিতে হয় তাহলে কি করবেন দোকানদারকে বলুন দুই গ্লাস পানি খাওয়াতে। একটা গভীর পাত্রের মধ্যে দুই গ্লাস পানি নিন। তাতে কিনে আনা সোনার গয়না ফেলে দেখুন সেটা ভাসছে কি না। যদি ভাসে তা হলে বুঝতে হবে সেটা নকল।
কামড় দিয়ে খাঁটি সোনা কিভাবে চিনবেনঃ
এ পরীক্ষাটি চালানর আগে নিজে পরীক্ষা করুন না হলে আবার দাগ ফেলে দেওয়ার জন্য দোকানদার জরিমানাও করতে পারে। হালকা কামড় দিয়ে ধরে রাখুন সোনা। যদি আসল হয় তা হলে সোনার ওপর কামড়ানোর হালকা দাগ পড়বে।
ভিনেগার দ্বারা খাঁটি সোনা কিভাবে চিনবেনঃ
ভিনেগার দিয়েও সোনা পরীক্ষা করা সম্ভব। একটি গ্লাসে কিছু পরিমাণ হোয়াইট ভিনেগার নিয়ে তারমধ্যে গহনাটি ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। তারপর গ্লাস থেকে গহনাটি বের করে নিন। খাটি স্বর্ণ হলে সেটা আগের মতোই চমকাবে আর নকল হলে উজ্জ্বল্য হারাবে।
ফ্লুরোসেন্স মেশিনে এক্স রে করাঃ
ফ্লুরোসেন্স মেশিনে এক্স রে করিয়ে নিন। যদিও এই পদ্ধতিতে সোনা যাচাই করে নেওয়াটা একটু কঠিন। কারণ সব জায়গাতে সচরাচর এমন সূযোগ আপনি নাও পেতে পারেন।